অপারেশান-কেমোথেরাপি-রেডিওথেরাপির পরেও কেন ক্যানসার পুণরায় ফিরে আসে ?


বিশেষজ্ঞদের মতে, কেমোথেরাপির নামে যে-সৰ ঔষধ ক্যানসার রোগিদের শরীরে ইনজেকশান দিয়ে ঢুকানো হয়, এমন জঘন্য-ধ্বংসাত্মক ক্ষতিকর পদার্থ ইতিপূর্বে কখনও ঔষধের নামে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয় নাই। তারপরও যদি এসব ঔষৰ টিউমার / ক্যানসার নির্মূলে কোন ভূমিকা রাখার প্রমাণ থাকত, তবু কোন কথা ছিল না। কোন ঔষধ ল্যাবরেটরীতে টেস্ট টিউবের টিউমারের ওপর কাজ করলেই তা যে মানুষের শরীরের টিউমার / ক্যানসাবের ওপর একইভাবে কাজ করবে তা সঠিক নয়। কেননা টেস্ট টিউবের বিচ্ছিন্ন (পশুদের) টিউমার আর মানুষের শরীরের জীবন্ত টিউমার দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। বস্তুতপক্ষে এমন অনেক ব্যবহার্য পদার্থ আছে যা মানুষের শরীরে ক্যানসার সৃষ্টি করে কিন্তু পশুদের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে। জামনিীর ক্যানসার গবেষক বিজ্ঞানী ডাঃ ওয়ানরি হাটিনজারের (Dr. Werner Hartinger) মতে, “মানুষের শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী অনেক ঔষধ এবং পেট্রো-কেমিক্যাল সামগ্রীর ব্যবহারকে বৈধ করে নেওয়া হয়েছে.......... এসব বিভ্রান্তিকর পশু পরীক্ষার (animal experiments) মাধ্যমে.........যা ভোক্তাদের মনে নিরাপত্তার মিথ্যা আশ্বাস জন্মিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি ডাব স্পিগল (Der Spiegel) নামের বিখ্যাত জার্মান ম্যাগাজিনে কেমোথেরাপির তীব্র সমালোচনা করে একটি গবেষণা রিপেুর্ট প্রকাশিত হয়, যাতে কেমোথেরাপিকে “অপ্রয়োজনীয় বিষাক্ত চিকিৎসা (Useless Poisonous Cures)" হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। জার্মানীর ডাসেলডর সরকারী হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের ডাইরেক্টর ডঃ ওলফ্রেম জোগারের (Dr. wolfram Jaeger, MD) অভিজ্ঞতা হলো, “(স্তন টিউমার এবং স্তন ক্যান্সলের চিকিৎসা) কেমোথেরাপি দিয়ে অতীতে ও সফলতা পাওয়া যায়নি এবং বর্তমানেও পাওয়া যায় না। বিগত পঞ্চাশ বছরে কোটি কোটি মহিলাকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এতে উপকার হওয়ার কোন প্রমাণ ছাড়াই। এসব কথা যদি আমরা রোগীদেরকে বলি, তবে তাদের মন ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে। কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির ক্যানসার সেন্টারের ৭৯ জন ক্যানসার বিশেষজ্ঞের মধ্যে ৫৮ জনই বলেছেন যে, “আমরা কেমোথেরাপি চিকিৎসা প্রত্যাখান যোগ্য মনে করি। কেন? কারণ কেমোথেরাপির অকার্যকারিতা এবং ইহার বিষক্রিয়ার মাত্রাধিকা”। কেমোথেরাপি ব্যবহারের হার যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ক্যানসার রোগীদের মৃত্যুর হারও তত বাড়তেছে। কোন কোন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন যে, মাত্র ২% থেকে ৪% টিউমারের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি কাজ উপকার করে থাকে। অথং ৯৬ থেকে ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি কোন কাজ করে না। আমেরিকান কংগ্রেসে সাক্ষ্যদান কালে ক্যানসার গবেষক ডাঃ স্যামুয়েল এক্সটেইন (Dr. Samuel s. Epstein) বলেছিলেন যে, “কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন রোগীদের মধ্যে দ্বিতীয়বার ক্যানসার হওয়ার ঝুকি বাড়িয়ে দিতে পারে শতকরা ১০০ ভাগ”। কেমোথেরাপির ওপর পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত গবেষণা হয়েছে তার সবকিছু বিশ্লেষণ করে জামনির হাইডেলবাগের টিউমার ক্লিনিকের বিজ্ঞানী ডাঃ উলরিক এবেল (Dr. Ulrich Abel) কেমোথেরাপিকে অভিহিত করেন “একটি বৈজ্ঞানিক ধ্বংসস্তুপ” (a scientific wasteland) হিসাবে। তার মতে, কেমোথেরাপি হলো “রাজার নতুন পোষাক পড়ার মতো। অর্থাৎ পোষাক পড়েও উলঙ্গ থাকা; বাঁচার আশায় চিকিৎসা নিয়ে উল্টো অকালে মৃত্যুবরণ করা। কেমোথেরাপিতে যদি কোন উপকার না হয়, তবে বিগত ৫০ বছরে কোটি কোটি ক্যানসার রোগীকে কেমোথেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হলো; এটি কিভাবে সম্ভব? আসলে এতে তিন পক্ষই খুশী। রোগী খুশী তারা দামী (এবং দামী মানেই নিশ্চয় উপকারী?) একটি চিকিৎসা নিতে পারছেন, ডাক্তাররা খুশী তারা রোগীদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কিছু একটা চিকিৎসা দিতে পারছেন এবং ঔষধ কোমপানীরাও খুশী (রোগীরা জাহান্নামে গেলেও) তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স ঠিকই দিনদিন ফুলে উঠতেছে।
বিজ্ঞানীরা ক্যানসারের প্রকৃত চিকিৎসা আবিষ্কার করতে পারছেন না কেন? গত একশ বছরে হাজার হাজার চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং শত শত ক্যানসার গবেষণা প্রতিষ্টানের পরিশ্রম কেন বিফলে যাচ্ছে ? – সূত্র fb Bashir Mahmud Ellias.

উপরোক্ত পোষ্টের আলোকে আমারা হোমিওপ্যাথগণ বলতে পারি এই তিন পক্ষকেই খুশী না করে। [যেমন- রোগী খুশী তারা দামী (এবং দামী মানেই নিশ্চয় উপকারী?) একটি চিকিৎসা নিতে পারছেন, ডাক্তাররা খুশী তারা রোগীদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কিছু একটা চিকিৎসা দিতে পারছেন এবং ঔষধ কোমপানীরাও খুশী (রোগীরা জাহান্নামে গেলেও) তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স ঠিকই দিনদিন ফুলে উঠতেছে।] হোমিও চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। নিজে বাচুন ও পরবর্তী প্রসন্মকে রিক্ত হস্ত হতে বাঁচান। - ডাঃ ফারুক, নওগাঁ।

 

Comments

Popular posts from this blog

জেলসিমিয়াম (GELSIMIUM – 30) এর জাদুকরী শক্তি । অজ্ঞাত উৎসের জ্বর (Pyrexi...

ঘাড় ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | Neck Pain Homeopathic Treatment Bangla