Ferrum Phos (ফেরাম ফস)


 

#প্রস্তুত পদ্ধতি- ফসফেট অফ সোডিয়াম ফসফেট অফ আয়রন এতদুয়ের সংমিশ্রণে ইহা প্রস্তুত হয়।

#সমনামঃ Ferri phosphate, Ferrosoferic phosphate, Phosphate of iron

#প্রুভিংঃ জে সি মরগন ১৮৭৬ সালে সুচলারের বায়োকেমিক মেডিসিন বইয়ের লিখা থেকে হোমিওপ্যাথিকে এই মেডিসিন প্রুভ করে।

#মায়াজমঃ

>অ্যান্টি-সোরিক

> অ্যান্টি-টিউবারকুলার

#মানুষিক লক্ষ্মণঃ

কোন কিছু চিন্তা করতে পারে না।

স্মৃতিশক্তি এতটাই দুর্বল যে নিজের নামটাই অনেক সময় ভুলে যায়।

খুব বাচাল প্রকৃতির।

হাসিখুশি থাকে কিন্তু হঠাৎ করে কারন ছারাই রেগে যায়।

অলস প্রকৃতি, যার জন্য সে নিজের প্রতি বিরক্ত।

জনসমাগম পছন্দ না।

#অন্যান্য লক্ষ্মণঃ

ইনফ্লামেশনঃ কোন জায়গায় ব্যাথা পেলে, জ্বর উঠলে ইত্যাদির যেকোনো প্রাথমিক অবস্থায় এই মেডিসিন ভালো কাজ করে।

যেকোনো অরিফিস দিয়ে Bleeding হতে পারে।

কানের Acute otitis media তে ভালো কাজ করে।

যখন কোন মেডিসিনের সিম্পটম পাওয়া যাচ্ছে না,তখন এই মেডিসিন দিলে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

উত্তেজক টাইপের খাবার পছন্দ। মাংস, দুধ অপছন্দ।

পানি পিপাসা বেশি। ঠান্ডা পানি খেতে চায়।

মাথাব্যাথাঃ

>রোদের তাপ, রোগির ঠান্ডা লাগলে হয়ে থাকে।

>মাথাব্যাথা ডান দিকে হয়।>অনুভূতিটা ঝাকুনি, থেতলানো, সুচ ফোটানো,হাতুড়ি দিয়ে বারি দিচ্ছে এমন লাগে।

>ব্যাথার সময় মাথায় হাত দিলে ব্যাথা আরও বাড়ে।

> এই সময় বেশি সেন্সিটিভ থাকে যে মাথার চুল টাচ করা যায় না।

>মাথা ব্যাথার সময় মাথার সামনের দিক নিচে নামালে ব্যাথাটা পিছন থেকে সামনের দিকে ব্যাথা আসে।আর মনে হয় সামনের দিকে ব্যাথা যেন ধাক্কা দিচ্ছে।

>প্রেগন্যান্সির ৩য় মাসে মাথা ব্যাথা হয়।

>বৃদ্ধিঃ বিকাল টার দিকে,মাথা ঝাকুনি লাগলে জোরে হাটলে। >উপসমঃ ঠান্ডা Application দিলে।

চোখঃ চোখে inflammation হয়ে লাল হয়, ব্যাথা থাকে, রেটিনায় রক্ত জমাট বাধে। চোখের পাতার নিচে মনে হয় বালি রয়েছে এমন অনুভূতি হয়।

কানঃ

>কানে কম শুনে।

>কানের মধ্যে সব সময় শব্দ হয়।

>কানে ব্যাথা ঠান্ডা বা ভেজা আবহাওয়া হয়।

>Burning সুচ ফোটানোর মত ব্যাথা হয়, যার জন্য লাল হয়ে যায় কান।

গলা:

>গলা ব্যাথাটা normally singer দের হয়।

>ঘুম থেকে উঠার পর গলা ব্যাথা।

>গলা Dry, inflammation হয়।>ডিপথেরিয়া প্রাথমিক অবস্থায় গলা ব্যাথায় ভালো কাজ করে।

নাকঃ নাক দিয়ে bleeding হয়।

বাহুঃ

>Right shoulder ব্যাথা।

>জয়েন্ট জয়েন্ট ব্যাথা করে। আর তা স্থান পরিবতন করে।

>ব্যাথার জায়গাটা ফুলে নরম হয়ে যায়।

পাকস্থলিঃ

>খুদা তেমন নেই।

>খাবারের পর বমি করার ইচ্ছা জাগে।

>বমির সাথে রক্ত, undigested food বের হয়।

>টক ঢেকুর হয়।

মল-

> stool গন্ধহীন।

>গ্যাসটা বের হয়ে যায় তা গরম।

> মলের সাথে রক্ত যায়।

>কাশি সাথে stool বের হয়।

প্রস্রাব(Urine):

>ঘন ঘন প্রস্রাব করার ইচ্ছা।>ছেলেদের পেনিসের অগ্রভাগে ব্যাথা, সাথে প্রস্রাব হয়।

>ব্যাথা দিনে বাড়ে, আর রাতে কমে।

Female genital Organ:

>প্রতি তিন সপ্তাহ অন্তর পিরিয়ড হয়।

>পিরিয়ডে Bleeding বেশি হয়,তখন মাথার তালুতে ব্যাথা হয়।

>জরায়ুতে বাচ্চা ডেলিভারির সময়ের মতো ব্যাথা করে। সাথে ডিম্বাশয়ে (Ovary) তে ব্যাথা করে।

>মেয়েদের যোনি অনেক শুকনা থাকে। তাই তারা সহবাস করায় অনীহা প্রকাশ করে।

জ্বর:

>সারাদিন শীত থাকবে।

>রাতে ঘাম হয়।

>জ্বর ১০২° এমন বাড়ে।

> জ্বরের সময় Pulse rate বেড়ে যায়।

অত্যাধিক ঘুম ভাব। অর্ধেক চোখ খুলে ঘুমায়। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে ঝগড়া করছে, আবার কিছু সময় পর সেই ব্যাক্তির সাথে হেসে কথা বলে।

বৃদ্ধিঃ প্রাতে, সন্ধ্যাকালে, রাতে, নড়াচড়ায়, স্পর্শে, ডানপাশে, উত্তাপে, উত্তেজনায়, চাপে, বাইরের খোলা বাতাসে, আহারের সময়ে পরে, টক খাদ্যে, ঘাম চাপা পড়ে, ঠাণ্ডা পানীয়ে, মাংসে, কফি, চা বা কেক খেলে, ভোর টা থেকে ৬টায়, ধাক্কা লাগলে, গরম পানীয়ে, গোলমালে।

হ্রাসঃ ধীরে ধীরে বেড়ালে, স্হির হয়ে থাকলে, রক্তস্রাবে, ঠাণ্ডা বাতাসে, ঠাণ্ডা প্রয়োগে, ভেজা হাওয়া, ঠাণ্ডা পানীয়ে, বিশ্রামে

এই মেডিসিন টা এক সাথে ৪টা মেডিসিন কভার করে।

যেমনঃ Aconite, Gelsemium,

Bryonia, Belladonna

শত্রুভাবাপন্নঃ প্যারিস।

ক্রিয়ানাশকঃ স্ট্রোন্টিয়াম ব্রোমে।

যারা অত্যাধিক ঘুমায় তাদের ফেরাম ফস বায়োকেমিক মেডিসিনে ঘুম কম হবে, যদি কোন ক্রনিক ডিজিজ না থাকে।

সতর্কতাঃ রাত্রিকালে এই ঔষধ ব্যবহার করলে অনিদ্রা দেখা দেয় উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ প্রয়োজন পড়লে 12X শক্তির নিম্নে ব্যবহার করতে নাই।

 -Esrat Jahan

 

Comments

Popular posts from this blog

জেলসিমিয়াম (GELSIMIUM – 30) এর জাদুকরী শক্তি । অজ্ঞাত উৎসের জ্বর (Pyrexi...

ঘাড় ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | Neck Pain Homeopathic Treatment Bangla