মায়াজম ও করোনায় অক্সিজেন লেভেল

একজনের জানতে চাওয়া মায়াজম ও করোনায় অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে কি করণীয় হতে পারে তার জবাব দিতে চেষ্টা করলাম ♊🚫
✍️ ডাঃ এ,বি,এম,শহীদুল্লাহ্ ✍️
🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀
জানতে চাওয়া ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে– এখানে শুধু দু'টি কথাই বলবো, মৃত হাতীকে যেমন নাড়ানো যায়না, তেমনি লক্ষণের টোটালিটি নিয়ে চিকিৎসা হয় না, আমি আপনার এ মন্তব্যের উপর কিছু কথা বলতে চাই।আমি এখানে আপনার মৃত হাতীকে নাড়াতে না পারলেও, আপনার শুধু মায়াজমের মায়াজালে আমি আবদ্ধ হতে চাইনা! আমি যেটা চাই বা বলতে ইচ্ছুক, সেটা হলো মায়াজম শুধু একটা ধারণা দেয়, আর সিম্পটমের টোটালিটি যদি উপযুক্ত
কেইসটেকিং এর আদলে হয়ে থাকে তবে 
জীবনীশক্তির ভাষাকে বুঝতে শেখায়, যেখানে আরোগ্য নিহিত। সুতরাং আমরা যখন সুন্দর একটা কেইসটেকিং করে একটা ঔষধে উপনীত হবো তখন সে ঔষধটির দিকে তাকালেই আামাদের মায়াজমকেও চেনা হয়ে যাবে। আর যদি কোনো একটি রোগীর মায়াজম নিয়েই যদি চিকিৎসা দিতে চাই আমরা, তাহলে তো ঐ মায়াজমের উপর অনেক ঔষধই থাকে, তবে কোন্ ঔষধটি দেবো? দিতে হবে তো ঔষধের সিম্পটম ধরে, যদি সেখানে একটি নন-মায়াজমেটিক ঔষধও নির্বাচিত হয় তা-ই তো প্রয়োগ করতে হবে; তা-ই নয় কি? আর এটাই তো নিয়ম। তবে আমাদেরকে অবশ্যই মায়াজমকে জানতে হবে; কিন্তু তা নিয়ে গোঁড়ামি করা চলবেনা। কারণ লক্ষণ ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যম। আর সবচেয়ে মায়াজম নিয়ে বেশী প্রয়োজন হয় তখনই, যখন সদৃশ ঔষধ কার্য করতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় তখন একটি রোগীর সার্বিকভাবে নিজের অর্জিত, লব্ধকৃত, বংশগত রোগের ধারণা নিয়ে সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস এর একটি বা দু'টি বা তিনটি দোষেরই যদি মিশ্রণ হয়ে থাকে, তবে সে ধারণায় কোনো একটি এন্টিমায়াজমেটিক ঔষধ দিয়ে পূর্বে প্রয়োগকৃত ঔষধটির কাজ করার সুযোগ করে দিতে হয়, নয়তো প্রয়োগকৃত এ এন্টিমায়াজমেটিক ঔষধটিকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হয়। এরচেয়ে বিকল্প কোনো রাস্তা খোলা নেই।
করোনায় অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে কি করণীয়ঃ–
শুধু করোনায় কেন? যে কোনো শ্বাস জনিত রোগে যদি অক্সিজেন লেভেল নীচে নেমে যায়, তাহলে কি আমাদের নির্দিষ্ট কোনো ঔষধ আছে? না সে-ই লেভেল যেমনই থাকুক না কেন, আমাকে তো দেখতে হবে রোগীর ঐ লেভের দাপটে কি ধরণের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, তাইনা? আর তা-ই যদি হয়, তবে তো কারো ক্ষেত্রে কার্বো ভেজ, কারো বা আর্সেনিক ইত্যাদি ঔষধের প্রয়োজন হতে পারে। আমাকে তো শুধু অক্সিজেন লেভেল নিয়ে চিন্তা করলে হবেনা। এটা তো কোনো নির্দিষ্ট ঔষধের লক্ষণ নয়। আর জীবাণুর অস্তিত্ব তো হোমিওপ্যাথির জন্য বিবেচ্য বিষয় নয় এবং মায়াজম সম্পর্কে যে বললেন, কেউ কি মায়াজম নিয়ে জন্মায়নি? নিশ্চয়ই জন্মেছে। তো এ মায়াজম দিয়ে আপনি কি করবেন? ঔষধ দেবেন রোগীকে? কি ঔষধ দেবেন? ঔষধ দিতে হলে তো সে-ই আপনাকে কেইসটেকিং করে জীবনীশক্তির ভাষা বুঝতে হবে! যদি না বুঝেন তবে মায়াজম আপনাকে কি দিতে পারবে? রোগীকে কিছু দিতে হলে যে, ঔষধ দিতে হবে। আর সে ঔষধ মায়াজমেটি হোক্ বা নন-মায়াজমেটিক হোক্। লক্ষণই তো হলো কেবল তার একমাত্র হাতিয়ার। এখানে তো এটা সেটা বুঝার কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা, আপনি আমি যা কিছু করিনা কেন, রোগারোগ্যে আমাদেরতো ঔষধের লক্ষণই খুঁজে একটি ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। তাই নয় কি?

 

Comments

Popular posts from this blog

জেলসিমিয়াম (GELSIMIUM – 30) এর জাদুকরী শক্তি । অজ্ঞাত উৎসের জ্বর (Pyrexi...

ঘাড় ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | Neck Pain Homeopathic Treatment Bangla