BADIAGA (Bad)

[ ব্যাডিয়াগা ]


 
সমনাম: ফ্রেশ ওয়াটার স্পঞ্জ, স্পঞ্জিয়া পলাষ্ট্রিজ।
উৎস: প্রাণীজ।
প্রুভার: ডা: বেডফর্ড।
কাতরতা : শীতকাতর (++)
মায়াজম: এন্টিসোরিক (+),
এন্টিসিফিলিটিক (+)
ক্রিয়াস্থল: গ্রন্থিসমূহ,শৈষ্মিক ঝিল্লি, হৃদপিন্ড,চক্ষু।
■ কী-নোটস :
১. সর্বাঙ্গে টাটানি ব্যথা ; স্পর্শ কাতরতা ( কাপড়ের স্পর্শও সহ্য হয় না ) ।
২. মিষ্টি বা মিসরী খেলে কাশির বৃদ্ধি ।
৩. কাশিতে শ্লেষ্মা, নাক মুখ হতে যেন ফুরুত করে উড়ে বের হয়।
৪. ক্ষততাবোধ ও কাঠিন্যতা ( গ্রন্থি স্ফীতি ও শক্ত ) , গ্রন্থির পীড়া সর্বক্ষেত্রেই জড়িত থাকে।
৫. পুরাতন প্রকৃতির বাতাজ বেদনা ও সন্ধি প্রদাহ।
■ কিসে বৃদ্ধি :
ঠান্ডা বাতাসে, ঝড়ো আবহাওয়ায়,চাপে,স্পর্শে,নড়াচড়ায়,কাপড়ের খসখসে আওয়াজে।
■ কিসে উপসম :
উত্তাপে, গরম ঘরে, রাতে , নিদ্রায় ।
■ তুলনীয় :
মার্কসল,স্পঞ্জিয়া, কেলি হাইড্রো,ফাইটো,কোনায়াম,ব্যারাইটা কার্ব,আয়োড,সাইলি ।
■ অনুপূরক :
সালফার, মার্কসল,আয়োড।
■ ব্যাডিয়াগার বৈশিষ্ট্য :
পুরাতন প্রকৃতির বাতজ বেদনা ও সন্ধি প্রদাহে
ব্যাডিয়াগা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ যা অন্য ওষুধ দ্বারা পুরণ হয় না। ব্যাডিয়াগার লক্ষণাবলীর সাথে রাসটক্স, আর্নিকা,ইউপেটোরিয়াম পারফোলিয়েটাম,বেলিস পার অথবা রডোডেনড্রন ইত্যাদি ওষুধ গুলোর লক্ষণের সাথে অনেক মিল হবার কারণে ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি। এ ওষুধ গুলো ব্যবহার করে কর্যকর ফল পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাডিয়াগা ব্যবহার করতে হবে।
[ মেটেরিয়া মেডিকা ভিভা --জর্জ ভিথোলকাস; ভলিউম -৪ , পৃষ্ঠা ৭৯৯ ]
■ ব্যাডিয়াগা রোগীর প্রথম চিত্র : পুরাতন বাতজ বেদনা ও সন্ধি প্রদাহ।
ক্রনিক ডিজিজ থেকে পুরাতন বাতজ বেদনা অথবা কোন আঘাত থেকে বেদনা, মাংসপেশীর থেতলানো ব্যথা এবং সন্ধি প্রদাহ।
বিশেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হাঁটুর ব্যথায় ব্যাডিয়াগা প্রথম গ্রেডের একটি ওষুধ। জর্জ ভিথোলকাস বলেন সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হাঁটু ব্যথা কিন্তু উঠার সময় নয়, হাঁটু ব্যথার এমন লক্ষণে ব্যাডিয়াগা প্রয়োগ করে আমি কদাচিৎ বিফল হয়েছি।
[ ভিভা--৭৯৯ পৃষ্ঠা ]
[ EXTREMITIES -PAIN-knees -descending -stairs ]
■ ব্যাডিয়াগা রোগীর দ্বিতীয় চিত্র : পাথরের ন্যায় শক্ত বাগী ( Bubo )।
বাগী যত শক্ত হবে--ব্যাডিয়াগা ততই উপকারী। বাগী পাথরের ন্যায় শক্ত সত্ত্বেও যদি কাঁচা থাকতেই কাটা হয় এবং তারপর যদি কাটা ঘা কতক শুকায় আর কতক না শুকায় ---এবং সেই ক্ষতের ধারগুলি যদি শক্ত হয় তাহলে ব্যাডিয়াগা উপযোগী । ( কার্বো এনিমেলিসও এই লক্ষণে উপযোগী )
■ ব্যাডিয়াগা রোগীর তৃতীয় চিত্র : কাশিবার সময় নাক মুখ হতে হলদে শ্লেষ্মা ছিটকে বের হয়।
ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি, হাঁচি, জ্বরভাব, শ্লেষ্মা নাক মুখ হতে ফুরুত করে যেন উড়ে বের হয়ে যায়। এ প্রকার সর্দি হতে হাঁপের মত টান, কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস পেলে ব্যাডিয়াগা উপযোগী।
[ MOUTH --MUCUS--flies --from mouth when coughing. ]
■ ব্যাডিয়াগা রোগীর চতুর্থ চিত্র : গ্ল্যান্ডের ফোলা।
ঠান্ডা মোটেই সহ্য হয় না। গ্রন্থিগুলি স্ফীত । গাল, গলা, ঘাড় , বোগল ,কানের গোড়া ও চোয়ালের বিচি ফোলা এবং বাগী তা প্রমেহ , গর্মী পীড়া জনিত, প্লেগ প্রভৃতি যেকোনো কারণেই হোক গ্ল্যান্ড যদি পাথরের মত শক্ত থাকে, তাহলে ব্যাডিয়াগা উপযোগী। এই ধরনের বেদনায় কাপড়ের স্পর্শও সহ্য হয় না।

 From fb By- Baqi Billah Md Selim

Comments

Popular posts from this blog

জেলসিমিয়াম (GELSIMIUM – 30) এর জাদুকরী শক্তি । অজ্ঞাত উৎসের জ্বর (Pyrexi...

ঘাড় ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | Neck Pain Homeopathic Treatment Bangla